পর্দা...হিজাব... দাড়ি...টুপি ও আমরা
লিখেছেন লিখেছেন মামুন ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০২:২৬:০৫ দুপুর
পাশাপাশি দুটি ফ্ল্যাট।
আজাদ সাহেব এবং রাসেল সাহেব থাকেন। দুই পরিবার পাশাপাশি থাকাতে এক অম্ল-মধুর সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। তবে জীবনযাপনের পদ্ধতির ভিন্নতায় তাদের পরিবারের সদস্যদের যাপিত জীবন একাধারে সরল এবং জটিল আকার ধারণ করেছে।
আজাদ সাহেব এর দুই মেয়ে। স্ত্রী এবং মেয়েরা ইসলামী অনুশাসন মেনে চলেন। পর্দা করেন। আজাদ সাহেবের ওয়াইফ একটি স্কুলে শিক্ষকতা করেন। সেজন্য যতটুকুই না করলে নয়, মেলামেশার ব্যাপারে খুবই সতর্ক থাকেন।
রাসেল সাহেবের এক মেয়ে এক ছেলে। মেয়ে এবারে এস এস সি পরীক্ষা দিবে। ছেলে কলেজে দ্বিতীয় বর্ষে পড়ে। খুবই আধুনিক মনের এবং সেভাবেই রাসেল সাহেবের স্ত্রী ও ছেলেমেয়েরা নিজেদেরকে এলাকায় দেখাতে চায়। মা এবং মেয়ে পর্দা করে না। বরং বাহিরে বের হবার সময় হাল ফ্যাশনের ড্রেস আর চুল খোলা রেখে চলে এবং চলার পথটিকে দীর্ঘক্ষণ ফরাসি সৌরভে মাতিয়ে রেখে যায়। আর একারণেই এলাকার যুবক এবং উঠতি বয়সী থেকে মধ্যবয়ষ্কদের দৃষ্টিতে কামুক চাহনির সাথে এক নাজায়েজ গোপন যৌনলিপ্সার উদ্রেক করে যায়।
সময় গড়িয়ে যেতে থাকে। একদিন রাসেল সাহেবের মেয়েকে এলাকার এক ছেলে টিজ করে। রাস্তায় চলার পথে সে প্রায়ই মেয়েটিকে অশ্রাব্য কমেন্ট করত। প্রথমদিকে রিমা এগুলোকে পাত্তা দিত না। কিন্তু দিন দিন ছেলেটির ব্যবহার ক্রমেই অশালীন হয়ে পড়ছিল। শেষে একদিন রিমা ওর বড় ভাইকে জানায়। সোহেল রিমার বড় ভাই। সে ওর বাবা-মাকে না জানিয়ে নিজের বন্ধুদেরকে নিয়ে উত্যক্তকারী ছেলেটিকে শাসিয়ে যায়। সেই ছেলেটিও ওর বন্ধুবান্ধবদেরকে ব্যাপারটি তার 'ইগো'তে লাগাতে জানায়। ক্রমেই কিছু টিন-এজার দের ভিতরে এক অস্বস্তিকর অনুভূতি দানা বাঁধে। আর এরা সকলে নষ্ট রাজনীতির সাথে জড়িত থাকায় কিছু ভয়ংকর পরিকল্পনার জন্ম নেয়। একদিন উত্যক্তকারী ছেলেটি সোহেলকে কলেজ থেকে একা ফেরার পথে প্রচন্ড মারধর করে। একপর্যায়ে পেটে চাকু দিয়ে 'স্ট্যাব' করে। ব্যাপারটি নিয়ে মহল্লায় প্রাথমিক বিচার বসে। কিন্তু সেখানে কোনো সুরাহা না হওয়াতে থানা-পুলিশ পর্যন্ত ব্যাপারটি গড়ায়। উত্যক্তকারী ছেলেটিকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। মামলা হয়। আবার একসময়ে সে জামিনে বেরও হয়ে আসে।
এরপর ঘটায় সে ভয়ংকর সেই কাজটি। জেলখানায় কাটানো কয়েকদিনের স্মৃতি তাকে পাগল করে দেয়। বন্ধুদের কু-পরামর্শে এবং নিজের টিন-এজ হৃদয়ে ধিকি ধিকি জ্বলতে থাকা তুষানলে তাড়িত হয়ে সে রিমার মুখ এসিডে ঝলসে দেয়। পরবর্তীতে আইনের হাতে আবারো সে ধৃত হয়। কিন্তু মাঝখান থেকে রিমার জীবনে নেমে আসে এক অমানিশার কালো ছায়া।
এরকম ঘটনা আমাদের আশেপাশে অহরহ ঘটে চলেছে। এই যে দুটি পরিবার পাশাপাশি থেকেও এদের জীবনে এরকম ভিন্ন আবহ বিরাজ করছে। আজাদ সাহেবের পরিবার ইসলামী ভাবধারায় অনুপ্রাণিত হয়ে নিজেদের জীবনযাপনের স্টাইলকে সেভাবে গড়ে নিয়েছে। তাই তাদের পরিবারের সদস্যরা বর্তমানের কলুষিত এই সমাজে নির্বিঘ্নে পথ চলতে পারছে। পক্ষান্তরে, রাসেল সাহেবের পরিবারের সদস্যরা যুগের সাথে তাল মিলিয়ে নিজ ধর্মের অনুশাসনকে মেনে না চলায় কত বড় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।
শুধুমাত্র পর্দা না করার কারণেই এটি হয়েছে।
মহিলাদের পুরুষদের সাথে পর্দা করবার তিনটি পর্যায় রয়েছে।
প্রথমতঃ শুধু মুখমন্ডল, হাতের পাতা এবং কারো কারো মতে পায়ের পাতা ব্যতীত সমস্ত শরীর ঢাকতে হবে। এটি তৃতীয় শ্রেনির পর্দা।
দ্বিতীয়তঃ মুখ, হাত এবং পায়ের পাতাও দেহের অন্যান্য অংশের সাথে ঢেকে রাখতে হবে। এটি দ্বিতীয় শ্রেনীর পর্দা।
তৃতীয়তঃ মহিলারা এমনভাবে থাকবে যে তাদের পোশাক পরিচ্ছদের উপরও যেন কোন বেগানা পুরুষের দৃষ্টি না পড়ে। এটি প্রথম শ্রেণীর বা সর্বোত্তম পর্দা।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ পাক বলেন, " মহিলারা যেন তাহাদের সৌন্দর্যকে প্রকাশ না করে অবশ্য যতটুকু প্রকাশ না হয়ে পারে না।"
আবু দাউদ শরীফের একটি হাদীস যার অর্থ মোটামুটি এমন, " হে আসমা (রাঃ) মেয়েরা যখন বালেগা হইয়া যায়, তখন তাহার শরীরের কোনো অংশই দেখা যায়েজ নাই।" তবে নবীজী শুধু মুখমন্ডল এবং হাতের প্রতি ইশারা করে বলেন, " মুখ এবং উভয় হাতের পাতা খোলা রাখা যাইবে।"
অন্যত্র আল্লাহ পাক বলেন, " মহিলারা যেন বড় চাদরের ঘোমটা দ্বারা তাহাদের চেহারা আবৃত করিয়া রাখে।"
ইমাম আহমদ, তিরমিজি এবং আবু দাউদ একটি হাদীস সংকলন করেছেন যেখানে প্রিয় নবীজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেছেন যার মোটামুটি অর্থ এমন- নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আম্মাজান হযরত উম্মে সালমা (রাঃ) এবং হযরত মায়মুনা (রাঃ) কে বলিয়াছিলেন, তাঁহারা যেন অন্ধ সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুমের (রাঃ) নিকট হইতে পর্দা করে। তাঁহারা বলিলেন, তিনি তো অন্ধ, কাজেই তিনি তো আমাদেরকে দেখিতে পাইবেন না। নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, তোমরা ও কি অন্ধ হইয়া গিয়াছ? তোমরাও কি দেখিবে না?
মহিলাদেরকে আতর খোসবু লাগিয়ে ঘর থেকে বের হতেও নিষেধ করা হয়েছে। ইমাম তিরমিযি একটি হাদীসকে হাসান সহীহ শ্রেণীভুক্ত বলে উল্লেখ করেছেন যার মোটামুটি অর্থ এমন-
নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, " মহিলারা যখন সুগন্ধি দ্রব্য ব্যবহার করিয়া কোন সমাবেশের নিকট দিয়া যাতায়াত করে তখন সে এইরকম অর্থাৎ ব্যভিচারিনী মহিলা বলিয়া বিবেচিত হয়।"
তো এই গেল মহিলাদের পর্দার বিধান সম্বলিত কয়েকটি হাদীসের মোটামুটি অর্থ। উপরের গল্পের নিরিখে আমরা দেখেছি যে, শুধুমাত্র পর্দার বিধান না মানাতে রাসেল সাহেবের পরিবারের উপর কি বিপদই না নেমে এসেছে। কারণ আল্লাহ পাক এবং তার রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বান্দা এবং উম্মতের জন্য কোনটি ভালো হবে সেটি ১৪০০ বছর আগেই বেশ ভালোভাবেই আমাদেরকে জানিয়ে দিয়েছেন। এখন দেখার ব্যাপার হল আমাদের ভিতর কে মানছি এবং সফলতা অর্জনে (দুই জাহানের) ধাবিত হচ্ছি। আল্লাহ পাক এবং তার রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর কথা কখনো মিথ্যা হতে পারে না, এখন পর্যন্ত হয়ও নাই এবং ইনশা আল্লাহ ভবিষ্যতেও হবে না।
আল্লাহ পাক আমাদের মা, বোন এবং মেয়েদেরকে ইসলামের পর্দার বিধান অনুযায়ী পর্দা করার তৌফিক দান করুন-আমীন।
আমি প্রায় ই লক্ষ্য করি লেবাস (পোশাক) কে ধর্মের সাথে সম্পর্কযুক্ত করার প্রবনতা। আমার নিজের ভিতরও এটা বেশী আছে, তাই এ প্রসঙ্গের অবতারনা। কয়েকটি উদাহরণ দিচ্ছি-
'বাড়ীওয়ালার বউ একেবারে হুজুর হয়ে গেছে' [একদিন পথে হিজাব পরা দেখেছি তো...]
'মাসুদ সাহেব আল্লাহ'র পথে চলে গেছেন' [হঠাত একদিন দাড়ি রাখা অবস্থায় দেখে...]
'ও মুনশী, কেমন আছো? [একদিন টুপি পরা অবস্থায় এক বন্ধুকে রাস্তায় দেখে] কিংবা
'এই সব ভন্ডামি ছাড়' [ টুপি পরে কোনো বন্ধু আড্ডায় এলে অন্য এক বন্ধু]... ... ...
এই যে আমাদের ভিতর ধর্মীয় উন্মাদনা, এ মূল কোথায়?
কখনো কি আমরা ভেবেছি?
কেন এরকম বলি?
নিজের কাছে প্রশ্ন করি।
আমরা আমাদের চারপাশে যা দেখি, আমাদের মনের ভিতর তা শিকড় গেড়ে দেয়। মানুষ আজন্ম শিকড় গড়ার কাজে ব্যস্ত থাকতে ভালোবাসে।আমার এক বন্ধু একদিন আমাকে জানালো, " আমি ছোটবেলা থেকে আমার পরিবারের ভিতরে যা দেখেছি, সেভাবে-ই উপলব্ধি করতে শিখেছি। আমার আব্বা ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন না। আমাদেরকে নিয়ে সিনেমা-নাটক দেখে খুব মজা করতেন। তো এই তিনি হঠাৎ আমি যখন অনার্স সেকেন্ড ইয়ারে- দাড়ি রেখে নামাজ-কালাম, পবিত্র কোরআন এর তাফসীর পড়া ও সেগুলো চর্চা করা- এ সবে মশগুল হয়ে পড়লেন। আমি এই আমূল পরিবর্তনকে মেনে নিতে পারছিলাম না। কারণ আমার উপর তখন তিনি ধর্মীয় বিধি-নিষেধ জোর করে চাপানোর ব্যাবস্থা করতে চেয়েছিলেন। তবে এই কাজটা তিনি যদি আমার Early Age এ করতেন, তবে সেটা ই ঠিক হতো।আমি তার এই পরিবর্তনকে খারাপ বলছি না। আমি আসলে একটা সমস্যাকে তুলে ধরলাম।"
এটা গেলো এক দিক।
আবার, আমি দেখেছি অন্যান্য ধর্মের সাথে তুলনা করলে ইসলামের সমালোচনা করার প্রবনতা খোদ মুসলিমদের ভিতরেই বেশী। ওই যে প্রথমে ই বললাম, দাড়ি-টুপি কিংবা হিজাব পড়া দেখে হুজুর / মুনশি/ ভন্ড এগুলো কে কাকে বলছে? একজন হিন্দু কিংবা একজন অন্যধর্মের কারো কলিজায় এই জোর নাই যে অন্তত এই দেশে বসে কোনো মুসলিমকে এই কথা বলবে (অন্য ধর্মের বন্ধুরা আমাকে সাম্প্রদায়িক মনে কর না আবার)।
একজন মুসলমান অপর এক মুসলমান ভাই বা বোনকে এই কথা বলছে। এটা আসলে টিটকারীসুলভ কথা বার্তা। তবে অনেকে মশকারির সেন্সেও বলে থাকেন। কিন্তু কোনো ধর্ম তো একটা হাসি-ঠাট্টার বিষয় হতে পারে না।
আজ আমি দাড়ি রাখলে ভন্ড/ জংগী কিংবা মৌলবাদী হয়ে যাই। [এক বন্ধুর একটা বায়িং হাউসে জব হল না শুধুমাত্র তার দাড়ি থাকার কারণে। যদিও সেটার মালিক একজন মুসলমান ছিলেন। তার অজুহাত ছিলো বিদেশী বায়াররা দাড়ী দেখলে জংগী মনে করবে। সেই বন্ধু তাকে বলেছিল, এই সব বিদেশীরা যে Jesus Christ কে অনুসরণ করে, তারও তো দাড়ি ছিলো। তো সে ও কি জঙ্গী?] অথচ হিন্দু/খ্রীষ্ঠান/ শিখ প্রভৃতি ধর্মের প্রধানের দাড়ি ছিলো। তাদের পুরোহিতেরাও দাড়ি রেখেছেন। অথচ একজন মুসলমান তার নিজের দেশে- যেখানে তার ধর্ম সংখ্যাগরিষ্ঠ দের ধর্ম, সেখানে দাড়ি রাখার অপরাধে চাকরি পায় না।
একই কথা হিজাব কিংবা পাজামা পাঞ্জাবীর বেলায়। আমি অনেক হাইলি কোয়ালিফাইড মেয়েকে দেখেছি হিজাব পড়ার কারণে অবমুল্যায়িত হতে। এক বন্ধু তার নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করল এভাবে, " যখন তাবলীগ করতাম, একবার স্বরূপকাঠি এলাকায় গেলাম সময় লাগাতে। আমার তখন পাজামা-পাঞ্জাবী ও দাড়ী-টুপি। একজন রিটায়ার্ড আর্মির কর্নেলও ছিলেন আমাদের সাথে। তো প্রথম দিনের পরিচয় পর্বে আমকে জিজ্ঞেস করলেন'
'হুজুর, আপনি কোন মাদ্রাসা থেকে পড়াশুনা করেছেন?'
'চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে'। শুনে উনি এমন ভাব করলেন যেনো আমি কি না কি বলেছি। অথচ একজন কর্নেল হয়ে রিটায়ার করা ব্যাক্তি তো আর অশিক্ষিত না। তার ভিতর-ই যদি এমন চিন্তা ধারা, তবে আর সাধারণ পাবলিকের কি দোষ?
একজন হিন্দু পুরোহিতের লেবাসে কোনো বন্ধুকে কিংবা একজন শিখ বন্ধুকে তার পোষাকে অথবা একজন খ্রীষ্ঠান বন্ধুকে পাদ্রীর ড্রেসে দেখে কিন্ত কোনো কটাক্ষ করি না।
তাকে ভন্ড বলি না।
ভন্ডামি কি শুধু এই দাড়ী-টুপি আর হিজাবের ভিতরে?
না হলে নাটক-সিনেমায় যে কোনো ক্রুর বা ভণ্ডের চরিত্রকে দাড়ি-টুপিওয়ালা দেখানো হয় কেন?
অনেকের কাছেই আমি হয়তো এতক্ষণে ভন্ড কিংবা সাম্প্রদায়িক বা মৌলবাদী হয়ে গেছি। বিশ্বাস না হলে নিজে আয়নার সামনে গিয়ে নিজেকে প্রশ্ন করুন।
অনেক কথা লিখে ফেললাম। ভুল হলে বা ভুল তথ্য দিলে সবিনয়ে আমার ভুলকে ধরিয়ে দিলে অনেক খুশী হব।
আল্লাহ পাক আমাদেরকে সহীহ ধর্মীয় বুঝ দান করুন-আমীন।
বিষয়: বিবিধ
২২১৬ বার পঠিত, ৮৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সচরাচর এমনটিই দেখছি।
সহমত আপনার সাথে।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা এবং পরিবেশ আমাদের মানসিকতা কে এতটাই নষ্ট করে ফেলেছে যে আমরা আমাদের ধর্মিয় ও জাতিগত পরিচয় ও আত্মমর্যাদা হারিয়ে ফেলেছি।
সত্য বলেছেন আপনি। আমাদের মুসলিম জাতি হিসেবে যে শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে উঠার কথা ছিল, তা না হওয়াতেই আজ আমরা বিভ্রান্ত হয়ে ঘুরছি।
কোকিলের মত কাকের বাসায় ডিম পাড়তে বাধ্য হচ্ছি।
সাথে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
একদম বাস্তব
শর্টফিল্ম টি দেখলাম।
শুভেচ্ছা রইলো।
ছোটভাই এর পক্ষথেকে একটা অনুরোধ -
কুরআন ও হাদীস এর রেফারেন্স দিয়ে রাখলে সুবিধা হতো। পোস্টের গ্রহণযোগ্যতা বাড়তো প্লাস আগ্রহী পাঠকরাও নিজেদের মতো করে বিস্তারিত স্টাডী করার সুযোগ পেতো।
আল্লাহ পাক আমাদের মা, বোন এবং মেয়েদেরকে ইসলামের পর্দার বিধান অনুযায়ী পর্দা করার তৌফিক দান করুন-আমীন।
আসলে আমিও রেফারেন্স খুঁজে পাইনি। তবে এরপর থেকে লিখলে অবশ্যই লেখায় রেফারেন্স দিতে চেষ্টা করব।
সাথে থেকে অনুভূতি জানানোর জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
ধন্যবাদ।
ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থা এবং সমাজের মানুষর আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন,সব মুসলিমদের জানা উচিত ধর্মীয় বিধানগুলোর তাৎপর্য! অধিকাংশ মুসলিম জানেনা পর্দা রক্ষা করে চলা পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের জন্য ফরজ! যারা করছেন না প্রতিনিয়ত কবীরা গুনাহে আছেন! আর পর্দার কনসেপ্ট শুধু পোষাকে সীমাবদ্ধ নয় গোটা জীবনে আল্লাহর অপছন্দনীয় বিষয়গুলো থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে আড়াল করে রাখাও পর্দা!
বাস্তবতা আর প্রানবন্ত উপস্হাপনায় খুব সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন! অসংখ্য শুকরিয়া শ্রদ্ধেয়..।
আসলে এটাই আমার প্রথম লেখা। অনেকটা পরীক্ষামূলকও বলতে পারেন। রেফারেন্স দিতে পারিনি, পর্দার শুধুমাত্র জাহেরি বা বাহ্যিক দিকটি শুধু তুলে ধরতে চেয়েছিলাম, আরো সময় নিয়ে এই বয়সে পড়ালেখা করতে চাচ্ছি, এরপর ইনশা আল্লাহ বিষয়ভিত্তিক লেখার দিকে আগাতে চাইছি। দোয়া করবেন।
সুন্দর অনুভূতি রেখে যাবার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
ধন্যবাদ আপনার দোয়ার জন্য।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
ভাল লাগলো।
আর আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম!
শুভেচ্ছা রইলো।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
মহান আল্লাহ আমাদর সবাইকে হেদায়েত দিয়ে দুনিয়া ও আখেরাতে নেক কামিয়াবী দান করুন, আমীন। মহান আল্লাহ আমাদর সবাইকে হেদায়েত দিয়ে দুনিয়া ও আখেরাতে নেক কামিয়াবী দান করুন, আমীন।
সাথে থেকে অনুভূতি রেখে যাবার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আআম্র ব্লগে আপনাকে স্বাগতম।
আপনার দোয়ায় আমীন।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
এমন অদৃশ্য সুপার গ্লু মনে হয় টুডে ব্লগের আনাচে কানাচে সযতনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। তাই একবার কেউ এই ব্লগে ঢুকলে কেন জানি বের হতে পারে না।
শুভেচ্ছা রইলো।
শুভেচ্ছা রইলো।
হাতের কাছের যা দিয়েছেন, তার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
সহমত আপনার সাথে।
স্টিকির থেকে পাঠকের অনুভূতিটাই আসল।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
এ সবের পিছনে তোমার অবদান বেশী।
শুভেচ্ছা রইলো তোমার জন্যও।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
আপনার দোয়ায় আমীন।
শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্যও।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
দুঃখ পাবার কিছুই নেই। কাজই সবার আগে।
আর সুন্দর অনুভূতি রেখে যাবার জন্য এসেছেন জেনে খুব ভালো লাগছে। আপনার অভিনন্দনের জন্যও অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
অভিনন্দন জানাচ্ছি একটি বৃহত্ কারণের জন্য। বলুনতো কী? যাইহোক কাজটা হয়তো আফরা করেছেন।
আপনার সাথে এসিড নিক্ষেপের শাস্তির ব্যাপারে সহমত।
কারণটি মনে হয় সহীহ ধর্মীয় বুঝ পাবার।
আপনাকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা অনুভূতি রেখে যাবার জন্য।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
পুরো গল্পটিতে বাস্তব চিত্র উঠে এসেছে। এ্টাই বর্তমানের বাস্তবতা। নৈতিকতার গুরুত্ব না দেবার কারণে আমাদের সমাজ দিন দিন অতল গহব্বরে পতিত হচ্ছে। সমাজের প্রতিচ্ছবি তুলে আনার জন্য আবারো ধন্যবাদ।
আপনি এবং আরো কয়েকজন বেশ অনেকবার আমার পোষ্ট স্টিকি করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন ব্লগ কতৃপক্ষকে, সেজন্য আরো একবার ধন্যবাদ।
সহমত আপনার সাথে।
সুন্দর অনুভূতি রেখে যাবার এবং সাথে থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
ও ইসলামের বিরুদ্ধে। যদিও আপনার প্রথম লেখা,সুন্দর মার্জিত হাত। আল্লাহ যেন এই
হাতকে শানিত করেন। আমরা যেন ,আপনার
আরও লেখা পড়তে পারি।
আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম!
অনুভূতি রেখে যাবার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
আপনার দোয়ায় আমীন।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
আপনার অভিনন্দনের জন্যও আপনাকে জানি অনেক শুভেচ্ছা বোন।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
স্টিকি পোস্টে অভিনন্দন!
অনুভূতি রেখে যাবার জন্য এবং অভিনন্দন জানাবার জন্য আপনাকেও অনেক শুভেচ্ছা।
ফুলগুলো সত্যিই মুগ্ধকর!
জাজাকাল্লাহু খাইর।
অনুভুতি রেখে গেলেন সেজন্য আপনাকেও অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
আপনার নান্দনিক মন্তব্য আমাকে আরো অনেক প্রেরণা দিলো।
শুভেচ্ছা রইলো।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
অনুভূতি রেখে গেলেন, সেজন্যও ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
আপনার সুন্দর পর্যালোচনা আমাকে সামনে এগিয়ে যেতে আর উৎসাহিত করল!
অনেক শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্যও।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
পড়লাম, জাযাকাল্লাহ.. দোয়া করি
আল্লাহতায়ালা আপনাকে দুনিয়া ও আখেরাতে অ-নে-ক সম্মানিত করুন
আপনার দোয়ায় আমীন।
আপনাকেও আল্লাহপাক ভালো রাখুন। দুই দুনিয়ায় সম্মানিত করুন।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
সহমত আপনার সাথে। হ্যা, মদারেটরদেরকে আমিও ধন্যবাদ জানাই।
শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য অনেক অনেক।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
দুটো পোষ্টারের সাথেই ১০০ ভাগ সহমত। আল্লাহ পাক যেন আমাদের সকলকে এই অনুযায়ী আমল করার তৌফিক দান করেন-আমীন।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
ইনশা আল্লাহ।
অনুভূতি রেখে যেতে ঢুকবার জন্য অনেক শুভেচ্ছা।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
পোস্ট ষ্টিকি হওয়াই প্রমান কত সুন্দর ও প্রয়োজনীয় এই লেখা। কোন কথা নয় আজ।
শুধু ষ্টিকি পোস্টের জন্য অভিনন্দিত শুভেচ্ছা শুভেচ্ছা ও শুভেচ্ছা.......।
আপনার অভিনন্দন এবং লাল গোলাপের সুগন্ধটুকু প্রানভরে উপভোগ করলাম।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
অনুভূতি রেখে যাবার জন্য অনেক শুভেচ্ছা।
তোমার দোয়ায় আমীন।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
অনুভূতি রেখে যাবার জন্য অনেক শুভেচ্ছা।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
অনুভূতি রেখে যাবার জন্য অনেক শুভেচ্ছা।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
আল্লাহ আপনার এই কষ্টকে কবুল করে নিন অত:পর পাঠকদেরকে এই লেখা থেকে উপকৃত হবার তৌফিক দান করুন, এই দোয়া রইলো রবের প্রতি।
আপনার মন্তব্যের জন্য জাজাকাল্লাহ!
সুন্দর অনুভূতি রেখে যাবার জন্য অনেক শুভেচ্ছা রইলো।
আপনার দোয়ায় আমীন।
ভালো রাখুক আল্লাহপাক আপনাকে।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
সুন্দরভাবে পোষ্টারে তুলে ধরেছেন।
অনুভূতি রেখে যাবার জন্য অনেক শুভেচ্ছা রইলো।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
'বাড়ীওয়ালার বউ একেবারে হুজুর হয়ে গেছে' [একদিন পথে হিজাব পরা দেখেছি তো...]
'মাসুদ সাহেব আল্লাহ'র পথে চলে গেছেন' [হঠাত একদিন দাড়ি রাখা অবস্থায় দেখে...]
'ও মুনশী, কেমন আছো? [একদিন টুপি পরা অবস্থায় এক বন্ধুকে রাস্তায় দেখে] কিংবা
'এই সব ভন্ডামি ছাড়' [ টুপি পরে কোনো বন্ধু আড্ডায় এলে অন্য এক বন্ধু]... ... ...
ভালো লাগলো ধন্যবাদ
সুন্দর অনুভূতি রেখে যাবার জন্য রইলো অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
মোহাম্মদ সঃ এর নামে নিচে বলা বক্তব্যের ব্যাপারে আমার সন্দেহ আছে। আমি বোখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, মালিক মুওয়াত্তায় এমন কোন বক্তব্য পাইনি। যথাযথ রেফারেন্স ও প্রেক্ষিত ছাড়া এমন বক্তব্য অগ্রহনযোগ্য। আপনি তা আপনার লিখা হতে মুছে দিতে পারেন এবং তাতে আপনার লিখার বক্তব্য ও মান কমবে বলে আমার মনে হয়না।
ধন্যবাদ আবার ও।
অন্যত্র নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেছেন যার অর্থ মোটামুটি এমন- " মহিলাদের অপরিচ্ছন্ন পোশাক পরিয়া বাহির হওয়া উচিত।"
সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা।
আপনি যেহেতু নিশ্চিত হয়ে বলছেন, তাই আপনার উল্লেখিত এই হাদীসটি ইনশা আল্লাহ আমি মুছে দিবো।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
সুন্দর অনুভূতি রেখে যাবার জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা রইলো।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
অনেক কথা লিখে ফেললাম। ভুল হলে বা ভুল তথ্য দিলে সবিনয়ে আমার ভুলকে ধরিয়ে দিলে অনেক খুশী হব।---
হলে হয়েছেন, তাতে কি। আপনি আপনার কথা উপর ঠিক থাকুন।
ভুল কিছুই বলেন নি, উচিত কথাই বলেছেন। আমাদের এই ধরণের প্রবণতা আছে বলেইত! আমিও দাড়িওয়ালা এক ভুক্তভোগী। তবে বিচলিত নই। আমার সুন্দর ব্যবহার দাড়ির কারণে আমার বন্ধুরের থেকে দূরে ঠেলে দেয়না, বরং আরো কাছে নিয়ে আসে। আর যদি সবাই আমাকে দূরে ঠেলে দেয়, তাতেও আমি বিচলিত নই, স্বয়ং আল্লাহ যে আমার পাশেই রয়েছেন।
অনেক ধন্যোবাদ মামুন ভাই।
খুব ভালো লাগলো আপনার মন্তব্যটি। আমি অনেক প্রেরণা এবং আত্মবিশ্বাস পেলাম! সামনের দিনগুলোতে আমার অনেক কাজে আসবে।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা রইলো।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
ধন্যবাদ।
সহমত আপনার সাথে।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
হ্যা, আমি ভুল করেছিলাম। এখন সঠিক পথে এসেছি।
লিংকটায় যাচ্ছি।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
মন্তব্য করতে লগইন করুন